দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি
08-12-20 (12:10)
08-12-20 (12:10)
পিরোজপুরের
মঠবাড়িয়া উপজেলার
সবুজনগর গ্রামে দ্বিতীয়
স্ত্রীকে হত্যার দায়ে
এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড
দেওয়া হয়েছে। একই
সঙ্গে এই অপরাধে
তাঁকে এক লাখ
জরিমানা করা হয়েছে।
পিরোজপুরের নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালের বিচারক
মো. মিজানুর রহমান আজ
মঙ্গলবার দুপুরে এ রায়
দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো.
হালিম ঢালী (৪৪)
মঠবাড়িয়া উপজেলার
সবুজনগর গ্রামের মৃত নূর
মোহাম্মদ ঢালীর ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় মো.
হালিম ঢালী আদালতে
অনুপস্থিত ছিলেন।
হালিমের মারা যাওয়া
দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম
হাসি বেগম (২৪)।
মামলার সংক্ষিপ্ত
বিবরণী ও আদালত সূত্রে
জানা গেছে, মো.
হালিম ঢালীর সঙ্গে
একই উপজেলার
কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের
মৃত মতি মিয়ার মেয়ে
হাসি বেগমের ২০১৩
সালে বিয়ে হয়। মো.
হালিম ঢালীর এটি
দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের
পর থেকে হালিম ঢালী
তাঁর স্ত্রী হাসি
বেগমকে কাছে এক লাখ
টাকা যৌতুক দাবি করে
আসছিলেন। ২০১৪ সালের
২৪ এপ্রিল রাতে হালিম
তাঁর স্ত্রী হাসি
বেগমকে বাবার বাড়ি
থেকে যৌতুকের টাকা
এনে দিতে বলেন। কিন্তু
টাকা এনে দিতে রাজি
না হওয়ায় হাসি
বেগমকে মারধর করেন
হালিম। খবর পেয়ে হাসি
বেগমের মা আনোয়ারা
বেগম মেয়েকে উদ্ধার
করে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি
করেন। এরপর হাসি
বেগমকে উন্নত
চিকিৎসার জন্য বরিশাল
শের-ই-বাংলা
মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে স্থানান্তর
করা হয়। সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায়
২০১৪ সালের ৭ মে
সকালে হাসি বেগম
মারা যান।
মামলার সংক্ষিপ্ত
বিবরণী সূত্রে আরও
জানা যায়, এ ঘটনায়
২০১৪ সালের ১১ মে হাসি
বেগমের মা আনোয়ারা
বেগম বাদী হয়ে
মঠবাড়িয়া থানায় মো.
হালিম ঢালীকে প্রধান
আসামি করে তিনজনের
বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
মঠবাড়িয়া থানার
উপপরিদর্শক (এসআই)
শাহনাজ পারভীন
তিনজনের বিরুদ্ধে
আদালতে অভিযোগপত্র
দেন। মামলার ১১ জন
সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ
শেষে বিচারক মো.
হালিম ঢালীর
অনুপস্থিতিতে রায়
ঘোষণা করেন। অভিযোগ
প্রমাণিত না হওয়ায় এ
মামলার আসামি মো.
হালিম ঢালীর প্রথম
স্ত্রী পিয়ারা বেগম ও
বিচার চলাকালে মারা
যাওয়া আসামি আমিরুন
বেগমকে বেকসুর খালাস
দেন।
সরকারপক্ষে মামলাটি
পরিচালনা করেন নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি)
আবদুর রাজ্জাক খান।
আবদুর রাজ্জাক খান
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ
করেন।
পলাতক আসামি হালিম
ঢালীর পক্ষে
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
ছিলেন সৈয়দ মজিবর
রহমান।